পাকিস্তানজুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বিঘ্নের মুখে পড়েছে। সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোথাও ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে, কোথাও খোলা থাকলেও গতি বেশ কম। ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য। তবে বিষয়টি নিয়ে ইন্টারনেট সংযোগ সরবরাহকারীরা কিছুই বলতে পারছে না বলে জানিয়েছে।
কিছু ব্যবহারকারীর ধারণা, ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর জন্য সরকার একটি ফায়ারওয়াল ইনস্টল করেছে। আর তাতেই এই বিঘ্নের সৃষ্টি হয়েছে। তবে পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথোরিটি (পিটিএ) এ দাবি অস্বীকার করেছে।
পিটিএর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ইন্টারনেট বিভ্রাটের কারণ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে, কিন্তু আমরা এখনো অভিযোগ পাইনি। সিস্টেম কাজ করছে—এমন দাবি করা পিটিএ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কোনো অফিশিয়াল যোগাযোগ না থাকায় বিভ্রাটের কারণ এখনো অস্পষ্ট। তবে ব্যবহারকারীরা আপডেট এবং সুরাহার জন্য অপেক্ষা করছে।
ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো প্রধান অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে সবচেয়ে বেশি নজরদারি করা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। ব্যবহারকারীরা ম্যাসেজিং এবং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ্লিকেশনগুলো চালাতে গিয়ে ধীর গতি এবং নানা অসুবিধার কথা জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের একটি ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী (আইএসপি) প্রতিষ্ঠান বলছে, যোগাযোগ, ব্যবসা এবং দৈনন্দিন কাজের জন্য এসব প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্ভরশীল লক্ষ লক্ষ লোক বিপাকে পড়েছেন। ওই আইএসপি গত সপ্তাহ থেকে ব্যবহারকারীদের পরিষেবা দিতে ক্রমাগত সমস্যার মুখে পড়ার অভিযোগও করেছে।
জানা গেছে, হোয়াটসঅ্যাপ একেবারেই অচল হয়ে পড়েছে। ব্যবহারকারীরা কনটেন্ট আপলোড এবং ডাউনলোড করতে পারছেন না।
আইএসপি বলেছে, ‘অনেক ব্যবহারকারী বার্তা পাঠাতে বা গ্রহণ করতে বা অ্যাপ্লিকেশনটির মাধ্যমে মিডিয়া ডাউনলোড করতে পারছে না।’
ফেসবুকের মতো অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের ধীর গতি ও আপলোড করতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
একজন অনলাইন ব্যবসায়ী বলেন, ‘দেশের মানুষ ডিজিটাল যোগাযোগের ওপর কতটা নির্ভরশীল তা এখন বোঝা যাচ্ছে। এই ডিজিটাল বিশ্বে মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ স্থিতিশীল ইন্টারনেট পরিষেবা। সেটি ব্যাহত হওয়ায় দৈনন্দিন জীবনও ব্যাহত হচ্ছে।