রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সাগরে কঠোর অবস্থানে কোস্ট গার্ড
Saturday, May 17, 2025
টেকনাফ প্রতিনিধি
মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। সীমান্তবর্তী নাফ নদী এবং বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন উপকূলে টহল জোরদার করা হয়েছে। জলযান ও জাহাজের মাধ্যমে দিনরাত নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে বাহিনীটি।
শনিবার (১৭ মে) দুপুরে সেন্টমার্টিনে সপ্তাহব্যাপী নানা কর্মসূচির শেষ দিনে এসব তথ্য জানান কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ। কর্মসূচির মধ্যে ছিল দ্বীপবাসীর জীবনমান উন্নয়ন, পরিবেশগত সচেতনতা বৃদ্ধি, ত্রাণ বিতরণ এবং বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন অংশে কোস্ট গার্ডের জলযান ও বড় জাহাজ মোতায়েন রয়েছে। মাঝ সাগরে অবস্থান নিয়ে তারা সার্বক্ষণিক টহল ও নজরদারি চালাচ্ছে। অপর পাশে, মিয়ানমার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে দেখা যাচ্ছে ধোঁয়ার কুণ্ডলী। এ বিষয়ে ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ বলেন, “ওপারে ধোঁয়ার কুণ্ডলীর উৎস সম্পর্কে আমাদের কাছে নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই। এটি কৃষিকাজ বা অন্য কোনো কার্যক্রমের অংশ হতে পারে। তবে সেখানে নতুন করে নিধনযজ্ঞ চলছে—এমন কোনো তথ্যও নেই।”
সম্প্রতি টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে কয়েকজন রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশের চেষ্টা হলেও বর্তমানে কঠোর নজরদারির কারণে এ ধরনের প্রবেশ কার্যত বন্ধ রয়েছে। ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ বলেন, “দালালচক্রের মাধ্যমে কেউ যেন বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য কোস্ট গার্ড ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করছে। বিজিবি, নৌ-পুলিশ ও নৌবাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা কাজ করছি, যাতে আর একজন রোহিঙ্গাও অবৈধভাবে প্রবেশ করতে না পারে। কখনো-কখনো সীমাবদ্ধতার কারণে রাতের অন্ধকারে দু-একটি অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়, তবে তা নজরে আসলে সাথে সাথে প্রতিহত করা হয়।”
সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সেন্টমার্টিন দ্বীপে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া, দুর্যোগপূর্ব প্রস্তুতি, দুর্যোগ-পরবর্তী করণীয়, পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ, মাদকবিরোধী সচেতনতা, জীবন দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ, এবং বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ বিতরণ করা হয়।
শেষ দিনে দেড় শতাধিক অসচ্ছল পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেল, লবণ, আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ।