সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরীকে নিয়ে প্রভাষক আরফাত চৌধুরীর স্ট্যাটাস

কক্সটিভি প্রতিবেদক বাংলাদেশের রাজনীতিতে এমন অনেক নেতা রয়েছেন, যারা রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসায় জড়িত। কিন্তু ব্যতিক্রম শাহজাহান চৌধুরী একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি রাজনীতিকে সেবার জায়গা হিসেবে নিয়েছেন, ব্যবসার নয়। মাত্র ২৮ বছর বয়সে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় হুইপের দায়িত্ব পান। ২০০১ সালে তিনি গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। শাহজাহান চৌধুরী দক্ষিণ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক ও জমিদার পরিবারের সন্তান। তার দাদা মুকবুল আহমদ সিকদার রাজনীতিতে উৎসাহ দিয়ে উখিয়া স্টেশনের একটি মূল্যবান জমি তার নামে লিখে দেন যেন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে কখনো আর্থিক সংকটে পড়লে তা ব্যবহার করতে পারেন। তার পিতা কাশেম মিয়া ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং একজন দানবীর। তিনি উখিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, রাজাপালং ফাজিল মাদ্রাসা এবং উখিয়া থানার জমিদাতা। শুধু তাই নয়, এই পরিবার অসংখ্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কবরস্থান এবং মাদ্রাসার জন্য জমি দান করেছে, যা আজও জনকল্যাণে ব্যবহৃত হচ্ছে। চারবার সংসদ সদস্য ও একবার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়া সত্ত্বেও শাহজাহান চৌধুরীর বিরুদ্ধে কখনো কোনো দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি। এটা বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিরল। তিনি একজন শিক্ষানুরাগী। তার হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে উখিয়া কলেজ, টেকনাফ সরকারি কলেজ, এবং অগণিত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিস্ময়কর হলেও সত্য, এত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়লেও তিনি নিজের নামে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেননি এটা তার বিনয় ও বড়ত্বের প্রতিফলন। শাহজাহান চৌধুরী উখিয়া-টেকনাফের রাজনীতিতে এক প্রশান্ত মহাসাগরের মতো; তার বিরুদ্ধে অবান্তর অভিযোগ তোলা ঢিল ছুঁড়ে সেই সাগর নাড়া দেওয়ার নামান্তর। আজ তিনি একজন নন, তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে উখিয়া-টেকনাফের প্রতিটি ঘরে জন্ম নিচ্ছে হাজারো শাহজাহান চৌধুরী। বেগম খালেদা জিয়ার আশীর্বাদপুষ্ট এই নেতা শুধু একজন রাজনীতিক নন, তিনি এ অঞ্চলের ইতিহাস ও জনমানসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আরফাত হোসেন চৌধুরী সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, উখিয়া কলেজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক, উখিয়া উপজেলা ছাত্রদল এবং সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কক্সবাজার জেলা ছাত্রদল।