গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর ওপর হামলা, গাড়িতে আগুন-ভাঙচুর

গোপালগঞ্জে সেনাবাহনীর সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এসময় ২ সেনাসদস্যসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।


দুই শিশু গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।  

জানা গেছে, উত্তেজিত নেতাকর্মীরা সেনাবাহিনীর দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং আরেকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এছাড়া অ্যাম্বুলেন্সসহ দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় ৪ সেনাসদস্য, সংবাদকর্মী ও স্থানীয় জনতাসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুই শিশু গুলিবিদ্ধ হয়েছে।  


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে শনিবার বিকেলে রাস্তায় নেমে আসেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী।


দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে জড়ো হওয়া নেতাকর্মীরা ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় মহাসড়কের উভয় পাশে বেশ কিছু সংখ্যক গাড়ি আটকা পড়ে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার কথা বলায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা সেনাবাহিনীর ওপর ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করলে স্থানীয় জনতা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে সেনা সদস্যদের ওপর হামলা করে।  


সদর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ আমিনুল ইসলাম লাচ্ছু সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সেনা সদস্যদের গুলিতে ৮/১০ বছর বয়সের দুই শিশু গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে।  


গোপালগঞ্জ ক্যাম্পের লে. কর্নেল মাকসুদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, স্থানীয় তিন-চার হাজার জনতা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সদর উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকায় জড়ো হয়ে রাস্তা অবরোধ করলে তাদেরকে রাস্তা থেকে সরে যেতে বললে তারা উত্তেজিত হয়ে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। এক পর্যায়ে তারা সেনাবাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় ৪ সেনা সদস্য আহত হয়েছেন।