গাজা উপত্যকায় ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের চলমান প্রাণঘাতী হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪০ হাজার স্পর্শ করতে চলেছে। এর অর্ধেকের বেশি শিশু ও নারী। আহতের সংখ্যা নিহতের চেয়ে দুই থেকে তিন গুণ বেশি।
ইসরায়েলের চলমান বর্বর আক্রমণে শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৪২ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এতে করে মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৯০০ জনেরও বেশি। একই সঙ্গে আহত হয়েছেন আরো ৯২ হাজারের বেশি মানুষ।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের আক্রমণে প্রায় ১০ হাজার মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন, যাদের উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। রাস্তায় আটকা পড়া এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া মানুষের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব সত্ত্বেও, ইসরায়েল গাজায় তার হামলা অব্যাহত রেখেছে। অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ ইতোমধ্যেই তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। ইসরায়েলের এই আক্রমণে গাজার অবকাঠামোর ৬০ শতাংশ ধ্বংস হয়ে গেছে, যার ফলে খাদ্য, পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ এবং গির্জাসহ অসংখ্য ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। জাতিসংঘের মতে, গাজার ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, যা এই অঞ্চলকে মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। ইসরায়েল এরই মধ্যে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে অভিযুক্ত হয়েছে।