সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় আদালতের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বলেছেন, লিয়াকত ও প্রদীপের ফাঁসি কার্যকর হলেই কেবল তিনি সন্তুষ্ট হবেন।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল আজ সোমবার বিকেলে রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের পর আদালতের বাইরে শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার প্রত্যাশিত রায় হয়েছে। এই রায়ের জন্য প্রসিকিউশন এবং আদালতকে আমি আমার পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি সেদিনই পুরোপুরি সন্তুষ্ট হব যেদিন লিয়াকত ও প্রদীপের ফাঁসি কার্যকর হবে। আমার আশা দ্রুত তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে।
এই মামলায়, প্রদীপ ও লিয়াকতের ফাঁসির পাশাপাশি ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকি সাত আসামি খালাস পেয়েছেন। যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত আসামিরা হলেন—বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত, বরখাস্ত কনস্টেবল সাগর দেব, দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, পুলিশের সোর্স শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
এ ছাড়াও, পুলিশের সোর্স নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিনের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
খালাস দেওয়া হয়েছে, বরখাস্ত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল মামুন, বরখাস্ত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, বরখাস্ত এপিবিএনের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান, বরখাস্ত কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহকে।