হিমছড়ি সমুদ্রে নিখোঁজ চবির শিক্ষার্থী অরিত্র হাসানকে পাঁচ দিনেও খুঁজে পাওয়া যায়নি; চলছে ড্রোন তল্লাশি

কক্সটিভি :: কক্সবাজারের হিমছড়ি পেচারদ্বীপ সমুদ্রসৈকতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অরিত্র হাসানকে পাঁচ দিনেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুল আলমের নেতৃত্বে ফের শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। ফায়ার সার্ভিস, লাইফগার্ড, ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিচ কর্মীদের পাশাপাশি অভিযানে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। তারা ড্রোনের মাধ্যমে সমুদ্র ও উপকূলজুড়ে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে। সী-সেইফ লাইফগার্ডের সুপারভাইজার ওসমান গনি জানান, এখন পর্যন্ত মহেশখালী, সোনাদিয়া, মাতারবাড়ি, কুতুবদিয়া উপকূল ও আশপাশের সাগর এলাকাজুড়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে। পাশাপাশি বিচ কর্মীরা পায়ে হেঁটে উপকূলজুড়ে অভিযান চালাচ্ছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার সকালে অরিত্র হাসান তার দুই সহপাঠীসহ সাগরে গোসলে নামেন। পরে দুপুরে সাদমান রহমান সাবাব এর মরদেহ সৈকতে ভেসে আসে। পরদিন বুধবার সকালে ১৭ কিলোমিটার উত্তরে সমিতিপাড়া সৈকতে ভেসে ওঠে আসিফ আহমেদ নামে আরেক শিক্ষার্থীর মরদেহ। আসিফ বগুড়া সদরের নারুলি দক্ষিণের রফিকুল ইসলামের ছেলে এবং সাবাব ঢাকার মিরপুরের কে এম আনিছুর রহমানের ছেলে। দু'জনই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এবং শহীদ মো. ফরহাদ হোসেন হলের আবাসিক ছিলেন। নিখোঁজ অরিত্র হাসান বগুড়ার দক্ষিণ সনসনিয়া গ্রামের সাকিব হাসানের ছেলে। জেলা প্রশাসনের বিচ কর্মীদের সুপারভাইজার মাহবুব আলম জানান, কক্সবাজার উপকূলের মহেশখালী থেকে টেকনাফের নাফ নদীর মোহনা পর্যন্ত প্রায় ১৫০ কিলোমিটার এলাকায় তল্লাশি চালানো হলেও এখনো অরিত্রর কোনো সন্ধান মেলেনি।