সাংবাদিক পরিচয়ে রোহিঙ্গা নারী নিয়ে ফুর্তি – তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য
Wednesday, September 17, 2025
রাজাপালং ইউনিয়নের শীলের ছড়া গ্রামে সাংবাদিক পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করা এক বহিরাগত ব্যক্তি সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উক্ত ব্যক্তি রোহিঙ্গা নারীকে বিয়ে করে এলাকায় বসবাস শুরু করে এবং নিজেকে একাধিক অনলাইন ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের “সাংবাদিক” হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যক্তি প্রায়শই বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিক পরিচয়ে ঘোরাফেরা করতেন এবং প্রভাবশালীদের সঙ্গে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, সে স্থানীয় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রোহিঙ্গা নারীকে বিয়ে করে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছিল এবং এর মাধ্যমে নিজের অবৈধ অবস্থানকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছিল।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, বিয়ের পর ওই নারীকে “স্ত্রী” নয় বরং “সহযোগী” হিসেবে ব্যবহার করে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে সামাজিকভাবে ফুর্তি করতেন তিনি। অনেকে বলছেন, এটি শুধু একটি বিয়ে নয় বরং নারী পাচার ও রোহিঙ্গা নারীকে ব্যবহার করে ফায়দা লোটার একটি পরিকল্পিত অপচেষ্টা।
রাজাপালং ইউনিয়নের কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি বলেন, এ ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে সাংবাদিক কিনা, তার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় বা পেশাগত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)-র হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। তাঁরা জানান, একজন সাংবাদিকের নাম ব্যবহার করে কেউ যদি রোহিঙ্গা নারীকে বিয়ে করে অসামাজিক কার্যকলাপ করে, তা হলে তা শুধু আইনগত নয়, সামাজিকভাবেও অপরাধ।
স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান:
এই ব্যক্তির পূর্ণ পরিচয় ও তার সাংবাদিকতা সংক্রান্ত প্রমাণপত্র যাচাই করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।