উখিয়ায় নলকূপ স্থাপনে অনিয়মের অভিযোগে দুদকের তদন্ত শুরু
Thursday, November 13, 2025
স্টাফ রিপোর্টার, উখিয়া
উখিয়ায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে নলকূপ স্থাপনে অনিয়ম অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছেন দুদকের তদন্ত টিম।
বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যরা রত্না পালং ইউনিয়নের রুহুল্লার ডেবা গ্রামে সরেজমিন তদন্তে আসেন।
জানা যায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে উখিয়া - টেকনাফ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য শাহীন আক্তার চৌধুরীর জাতীয় সংসদের প্যাডে স্বাক্ষর জাল করে ৬৫ টি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস সরকারের পতন হলে উখিয়ায় নলকূপ স্থাপন নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় নলকূপ স্থাপনে অনিয়ম সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ হলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে উপ সহকারী প্রকৌশলী শরিফ ইমতিয়াজকে তাৎক্ষণিক বদলি করেন।
এদিকে তদন্তে আসা কক্সবাজার দুদকের সহকারী পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন জানান, তৎকালীন সরকারের সাবেক সংসদ সদস্যের প্যাড ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ২০২৩/২৪ অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত নলকূপ স্থাপনে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে যাচাই করার উদ্দেশ্যে দুদকের টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এনফোর্সমেন্ট টিম প্রথমে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, কক্সবাজার অফিস হতে রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। পরে রেকর্ড পত্র সহ উখিয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে আসলে উপজেলা প্রকৌশলীকে পাওয়া যায়নি। যার ফলে সংসদ সদস্যের স্বাক্ষর সম্বলিত প্যাড এর কপি সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরো জানান, তদন্তকালে স্থানীয় ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। বাকি রেকর্ড পত্র সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রধান কার্যালয় বরাবর এনফোর্সমেন্ট প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উখিয়া উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী জি এম মোক্তাদির জানান, গতকাল দুদক টিম অফিসে এসেছিলেন। তবে আমি ছুটিতে আছি। আর উনাদের যে অভিযোগ তা কাগজপত্র দেখা ছাড়া বলতে পারছি না। আর তালিকা ছাড়া আমরা কোন কাজ করিনা। তার পরও কোন অনিয়ম হয়ে থাকলে তা তদন্তে উঠে আসবে।
উখিয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম জানান, নলকূপ স্থাপনে অনিয়ম কিংবা তৎকালীন সংসদ সদস্যের প্যাডে স্বাক্ষর জাল বিষয়টি বিগত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বছরের। গত নভেম্বর মাসে তিনি কেবল অফিসে যোগদান করেছেন। বিষয়টির ব্যাপারে তিনি তেমন কিছুই জানেন না।



