মাদক বিরোধী প্রচারণা এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ বিতরণ ক্যাম্পেইন সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে

কক্সটিভি নিউজ ডেস্ক 'রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ কক্সবাজার এলাকায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জন্য গঠিত টাস্কফোর্স' এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে ঈদগাও পাবলিক লাইব্রেরীতে মাদক বিরোধী প্রচারণা এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ বিতরণ ক্যাম্পেইন এর আয়োজন করা হয়। এই ক্যাম্পেইনে কক্সবাজারের ঈদগাও উপজেলার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, স্থানীয় শিক্ষকবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং চিকিৎসাপ্রাপ্ত গরীব ও দুস্থ্য রোগীরা উপস্থিত ছিলেন। টাস্কফোর্স মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামাজিক সচেতনতার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা গেলে মানুষ নিজেরা মাদক গ্রহণ থেকে বিরত থাকবে, মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলবে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করবে। দীর্ঘমেয়াদে এই সচেতনতা একটি স্থায়ী সামাজিক আন্দোলনে রূপ নিলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা পাবে। শিক্ষক, স্থানীয় এবং ধর্মীয় নেতাদের সমাজের প্রতিটি স্তরে, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় কার্যকর সম্পৃক্ততার মাধ্যমে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। এই বিষয়ে মাদক বিরোধী টাস্কফোর্স গণমাধ্যমের সর্বাত্মক সহায়তা কামনা করে। উল্লেখ্য যে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর প্রজ্ঞাপনের আলোকে গত ২০ জুলাই তারিখে জিওসি ১০ পদাতিক ডিভিশন এর নেতৃত্বে বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং স্থানীয় জনপ্রশাসনের সমন্বয়ে 'রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ কক্সবাজার এলাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জন্য এই টাস্কফোর্স' গঠন করা হয়েছে। কক্সবাজার ও পারিপার্শ্বিক এলাকা দিয়ে মাদক পাচারের যে নেটওয়ার্ক তৈরী হয়েছে তা সমূলে ধ্বংস করার লক্ষ্যে টাস্কফোর্স ইতোমধ্যে এক যোগে কাজ শুরু করেছে। যার ফলশ্রুতিতে, গত ২০ জুলাই ২০২৫ তারিখ থেকে অদ্যাবধি, এই স্বল্প সময়ের মধ্যে, মাদকবিরোধী টাস্কফোর্সের সমন্বিত অভিযানের মাধ্যমে ১,১৪,৯৯,০৬০ পিস ইয়াবা, ২৪,০২৬ লিটার বাংলা মদ, ১৭৫ কেজি গাঁজা, ১৩৬৫ ক্যান বিয়ার, ২ কেজি ৬২১ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ, ১ লিটার বিদেশি মদ, ১০, ০০০ লিটার মদের উপকরণ, ২৫,০০০ জাওয়া/ ওয়াশ, ২০ লিটার রেকটিফাইড স্প্রিড, ৩x মাইক্রোবাস, ১৩টি শুটার গান, ৫টি এলজি এবং ৫২ রাউন্ড বুলেট জব্দ করা হয়েছে। এই সময়ে ১১৭২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে মামলা প্রদান করা হয়েছে। সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে কক্সবাজার দিয়ে মাদকের চোরাচালানের যে নেটওয়ার্ক তৈরী হয়েছে তা বন্ধ করা এবং ভবিষ্যতে একটি মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গঠন সম্ভব হবে।