নারায়ণগঞ্জের ডিসিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ দফা দাবি



নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ৬ দফা দাবি পেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে ফারহানা মানিক মুনা, সাইদুর রহমান এবং সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি জেলা প্রশাসক বরাবর নারায়ণগঞ্জ জেলায় হতাহতদের বিষয়ে ৬ দফা দাবি পেশ করেন।


নেতৃবৃন্দ তাদের দাবি নামায় উল্লেখ করেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা ছাত্রজনতা এক ঐতিহাসিক সময় পাড়ি দিয়েছি। সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সময়ের প্রয়োজনে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। বহু মুক্তিকামী জীবনের বিনিময়ে গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ছাত্রজনতা স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করে। স্বৈরাচারী সরকারের এই পতনকে আমরা আমাদের প্রাথমিক বিজয় মনে করছি।


নেতৃবৃন্দ আরও যোগ করেন, আমাদের এই লড়াইয়ে সারাদেশে অসংখ্য ছাত্রজনতা শহীদ হয়েছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো তথ্য ও প্রযুক্তির এই উৎকর্ষতার সময়ে এসেও আমরা জানি না নারায়ণগঞ্জে আমাদের কতো ভাই বোন শহীদ হয়েছেন। আমরা জানি না কতোজন আহত হয়েছেন। এবিষয়ে গত ৬ আগস্ট আপনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষের মতবিনিময় সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে কিছু সুনির্দিষ্ট দাবি জানানো হয়। কিন্তু সেসব দাবি পূরণের বিষয়ে কোনো দৃশ্যমান ভূমিকা আমাদের চোখে পড়েনি। এটা যেমন দুঃখের তেমনি লজ্জার। বিষয়টি নারায়ণগঞ্জের শিক্ষার্থীদের ক্ষুব্ধ করেছে। 


৬ দফা দাবি হল- ১৮ আগস্টের মধ্যে আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের সঠিক তালিকা প্রকাশ করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে আন্দোলনে আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। আন্দোলনে শহীদদের পরিবারের জন্য যৌক্তিক ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। নারায়ণগঞ্জের শহীদদের স্মরণে জেলা ও উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে ‘স্মৃতি স্তম্ভ ও নাম ফলক’ তৈরি করতে হবে। অনতিবিলম্বে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত ও হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে। জেলার প্রাণকেন্দ্রে হতাহত ও লড়াইয়ের স্মৃতি সংরক্ষণে একটি সংগ্রহশালা তৈরি করতে হবে।