উখিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতার হামলায় শ্রমিকদল নেতা হাসপাতালে
Saturday, June 14, 2025
বার্তা পরিবেশক
উখিয়ায় পুর্ব শত্রুতার জের ধরে আওয়ামী লীগের দোসর খ্যাত
পাহাড় খেকো প্রফেসর বেলাল উদ্দিন ও তার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা মাহিনের নেতৃত্বে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে উখিয়া শ্রমিক দলের নেতা মনজুর আলম ( ৩৫) নামক এক ব্যাক্তিকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত মনজুর আলম উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ড উত্তর পুকুরিয়া গ্রামের নুরুল হকের পুত্র।
এ ব্যপারে গত ১৪ জুন আহত মনজুর আলমের ছোট ভাই কলেজ ছাত্র মোঃ ইউনুছ বাদী হয়ে
রোজায়েত বিন বেলাল মাহিন (২০), ২। রোবায়েত বিন বেলাল সামিন (২৩), উভয় পিতা প্রফেসর বেলাল উদ্দিন, ৩। প্রফেসর বেলাল উদ্দিন (৪৫), পিতা- অজ্ঞাত, ৪। সাইফুল আজম খোকন (৪০), ৫। মানিক (৩৫), উভয় পিতা- জামাল উদ্দিন, ৬। মোঃ আলমগীর (৪০), ৭। জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), উভয় পিতা- আবুল ফজল মাষ্টার, সর্বসাং- উত্তর পুকুরিয়া, ২নং ওয়ার্ড, রাজাপালা ইউপি, খানা- উখিয়া, জেলা- কক্সবাজার সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জন আছে উল্লেখ করে ৭ জন কে বিবাদী করে উখিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, পুর্ব শত্রুতার বিষয় নিয়ে প্রফেসার বেলাল উদ্দিন এবং মনজুর আলমের পরিবারে বিবাদ চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। এনিয়ে কয়েক দফা শালিসী বৈঠক হয়েছে। প্রফেসার বেলাল উদ্দিন গং এলাকার প্রভাবশালী হওয়াতে ক্ষমতার দাপটে দেশের প্রচলিত আইন ও সমাজিক শালিসী রায়কে তোয়াক্কা করেনা। তাই বিভিন্ন সময় মনজুর আলমের পরিবার কে হয়রানি, হুমকি ধমকি প্রদর্শন করে আসছিল।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৪/০৬/২০২৫ তারিখ বিকাল অনুমান ০৫.৩০ ঘটিকার সময় শ্রমিক দল নেতা মনজুর আলম নিজ বাড়ি হতে বের হয়ে উত্তর পুকুরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মোঃ আব্দুল্লাহ এর গ্রাম্য মুদি দোকানের সম্মুখে রাস্তার উপর আসলে পুর্ব থেকে ওতপেতে থাকা উক্ত অভিযুক্ত ব্যক্তিদয় সহ আরো অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন সন্ত্রাসী বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র সহকারে অতর্কিত ভাবে মনজুর আলমের পথরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে একযোগে এলোপাতাড়ি হামলা চালাতে থাকে। এসময় মনজুর আলম বাঁচার আকুতি জানিয়ে হামলাকারীদের কাছ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেনি। তার শোর চিৎকার শুনিয়া আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা মনজুর আলম কে আধমরা করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
যাওয়ার সময় ঘটনার বিষয়ে মামলা মোকদ্দমা দায়ের করলে আরো হামলার ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হবে, পাশাপাশি পরিবারের সবাই কে মেরে খুন করে লাশ গুম করা সহ নানান ধরনের হুমকি ধমকি দিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও যাওয়ার সময় মনজুর আলমের ব্যবহৃত একটি অপ্পো এন্ড্রয়েড মোবাইল যার আনুমানিক মুল্য ২৫০০০/- টাকা ও নগদ ৭৫০০/- নিয়ে যায় বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে আত্নীয়স্বজন ও এলাকাবাসী গুরুতর আহত মনজুর আলম কে উদ্ধার করে উখিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার অবস্থা বেগতিক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রথমিক চিকিৎসা শেষে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন। বর্তমানে শ্রমিকদল নেতা মনজুর আলমের আবস্থা আশংকাজনক বলে তার পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে।
আহত মনজুর আলমের ভাই কক্সবাজার সরকারী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স ৩য় বর্ষে অধ্যয়নরত ছাত্র মোঃ ইউনুছ বলেন, বিবাদীগন এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, দাঙ্গাবাজ ও হাঙ্গামাপ্রিয় লোক হয়। ৩নং বিবাদী একজন আওয়ামী দোসর হওয়ায় বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে দেদারছে পাহাড় কাটিয়া পরিবেশ বিনষ্ট করতঃ তাহার ডাম্পার গাড়ী যোগে পাচার করেছে। উক্ত কারনে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বিজ্ঞ আদালতে চলমান আছে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। যো কোন সময় আরও বড় ধরনের হামলা চালাতে পারে আমাদের পরিবারের সদস্যদের উপর। এ ব্যপারে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।