কক্সবাজারের রামুতে এক পুলিশ কনস্টেবলের দা’র কোপে জিশান ফারহান (১৯) নামে এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার (১১ জুন) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকায় বাঁকখালী নদীর তীরে এই ঘটনা ঘটে।
আহত জিশান ফারহান ওই এলাকার ব্যবসায়ী ইউসুফের ছেলে। তাকে গুরুতর অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, বাঁকখালী নদীর তীরবর্তী ব্রিজের পাশের একটি জলাশয়ে সম্প্রতি মাছের পোনা ছাড়েন জিশান। মঙ্গলবার ওই জলাশয় দখলের উদ্দেশ্যে ঘেরাবেড়া দেন একই এলাকার কালু সওদাগরের ছেলে মো. শফি। এ নিয়ে বুধবার সকালে শফি, তার ভাই নুরুল আলম, পুলিশ কনস্টেবল মো. ফরিদ ও খালেকের সঙ্গে জিশানের বাকবিতণ্ডা হয়।
একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মো. ফরিদ দা দিয়ে জিশানের হাতে কোপ দেন। এতে তার হাতের একটি অংশ কেটে যায় ও প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহতের চাচাতো ভাই ইরফান বলেন, “ঘটনার সময় মো. ফরিদ দা দিয়ে কোপ দেন। হাতের একটি অংশ কেটে ঝুলে যায়। চিকিৎসা নেওয়ার পর থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।”
রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য আল শাইর জানান, “ঘটনার পর আমি ফারহানকে রক্তাক্ত ও কাটা হাতসহ দেখতে পাই। তাকে দ্রুত হাসপাতালে যেতে বলি। তবে ঘটনাটি কী কারণে হয়েছে, তা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না।”
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত মো. ফরিদ বাংলাদেশ পুলিশের একজন কনস্টেবল (গাড়িচালক)। ঈদুল আযহার ছুটিতে তিনি নিজ এলাকায় অবস্থান করছিলেন। তবে ঘটনার বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
