ইয়াবা লুটের অভিযোগ মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর বললেন রামুর ছাত্রদল নেতা সেলিম

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সম্প্রতি একজন ব্যক্তি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তথাকথিত ইয়াবা লুটের ঘটনায় রামু উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আমি ছানা উল্লাহ সেলিমসহ দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের জড়িয়ে সমাজের সম্মানিত ব্যক্তি ও পেশাজীবীদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ভিত্তিহীন অভিযোগ এনেছেন। এই অভিযোগের মাধ্যমে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও পেশাজীবীদের নাম জড়িয়ে সমাজে বিভ্রান্তি, উত্তেজনা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিতর্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা করা হয়েছে—যা অত্যন্ত দুঃখজনক, অগ্রহণযোগ্য এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ। বিশেষভাবে উদ্বেগজনক যে, "যিনি এই অভিযোগ তুলেছেন, তার বিরুদ্ধে অতীতে মাদকসহ একাধিকবার গ্রেফতার ও কারাবাসের প্রমাণ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।" এছাড়া, যিনি 'সাক্ষ্য' দিয়েছেন বলে দাবি করছেন, তিনি কোনো সুনির্দিষ্ট ঘটনা প্রত্যক্ষ করেননি বা নির্ভরযোগ্য উৎস থেকেও তথ্য সংগ্রহ করেননি। বরং তিনি কেবল "শুনেছেন" বলেই দাবি করছেন—যা প্রচলিত আইনে গ্রাহ্য নয় এবং প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। তদুপরি, কোনো ব্যক্তির সম্মতি ছাড়া তার বক্তব্য ও পরিচয় প্রকাশ করে তাকে সামাজিকভাবে বিতর্কিত করা অত্যন্ত বিব্রতকর, মানসিকভাবে ক্ষতিকর এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘন। সমাজের বিবেকবান নাগরিকদের মতে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ভিত্তিহীন অভিযোগ ও মিথ্যা তথ্যদিয়ে কারও সম্মানহানি করা, চরিত্র হনন করা—বাংলাদেশ দণ্ডবিধি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও মানহানি আইনের আওতায় স্পষ্টতই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমতাবস্থায় আমরা সাংবাদিক সমাজ, গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান, প্রেস কাউন্সিল এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি সাংবাদিকতার পরিচয়ের অপব্যবহারকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক। মাদক মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সংবাদমাধ্যমকে প্রভাবের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার রোধ করা হোক। প্রকৃত সাংবাদিকদের মর্যাদা রক্ষায় সবাই একযোগে সোচ্চার হোন। যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা নিরপেক্ষভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে তদন্ত করে সঠিক তথ্য জনগণের সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা চাই— সাংবাদিকতা হোক তথ্যনির্ভর, জনস্বার্থে নিবেদিত এবং অপরাধমুক্ত। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে সাংবাদিকতা হোক সহায়ক, অপপ্রচার ও প্রতিশোধের হাতিয়ার নয়। ইতিমধ্যে যে মানহানিকর বক্তব্য ও অপপ্রচার চালানো হয়েছে—তা প্রচলিত আইনের আলোকে মোকাবিলা করতে বাধ্য হবো। মানহানিকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে। প্রতিবাদকারী, ছানা উল্লাহ সেলিম আহবায়ক, রামু উপজেলা ছাত্রদল।