জেপি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার' নিয়ে প্রকাশিত ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদের প্রতিবাদ

১ সেপ্টেম্বর 'দৈনিক কক্সবাজার' পত্রিকায় প্রকাশিত "জেপি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে ভয়াবহ অনিয়ম" শিরোনামে প্রতিবেদনটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। জেপি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (জেপিটিটিসি)-এর বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ সম্পূর্ণ মনগড়া, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার জন্য এই ধরনের মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে, যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। উক্ত প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্যগুলো সম্পুর্ণ কাল্পনিক ও প্রতিবেদকের মনগড়া এবং অসম্পুর্ণ তথ্যে সন্নেবেশিত। জেপি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (জেপিটিটিসি) কক্সবাজারের বেকার যুব সমাজকে দক্ষ করে তোলার কার্যক্রম চালিয়ে সবখানে যখন প্রশংসিত হচ্ছে তখনই অসৎ উদ্দেশ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য এই প্রতিবেদন। ইতিপূর্বে উক্ত পত্রিকায় জেপিটিটিসির সফল কার্যক্রমের প্রশংসনিয় একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে যা আমাদের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের 'এসেট' (Accelerating Skills for Economic Transformation) প্রকল্পের অধীনে প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ নিয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অসত্য, বানোয়াট এবং ভিক্তিহীন। প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী, বরাদ্দকৃত অর্থ প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে যথাযথভাবে বিতরণ করা হয় এবং প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র ও প্রমাণাদি আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে। প্রতিটি বিল এবং ভাউচার নিয়ম মেনে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের কাছে জমা দেওয়া হয় এবং সেই বিল যাচাই-বাছাইয়ের পরেই কেবল টাকা ছাড় করা হয়। অর্থ উত্তোলনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছ এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়ম মেনে পরিচালিত হয়। প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে ভর্তির সময় টাকা নেওয়ার অভিযোগটিও মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। 'এসেট' প্রকল্প সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এবং আমরা এই নীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করি। কিছু ক্ষেত্রে, নিজ উদ্যোগে যারা লেভেল-৪ এর মতো উচ্চতর কোর্সে ভর্তি হয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে আগ্রহী, তাদের জন্য নির্ধারিত বিশেষ প্রশিক্ষণের জন্য ফি লাগতে পারে, তবে 'এসেট' প্রকল্পের অধীনে কোনো প্রশিক্ষণার্থীর কাছ থেকে কোনো ধরনের ফি নেওয়া হয় না। সংবাদে প্রশিক্ষণ সামগ্রীর নিম্নমান এবং অপ্রতুলতার কথা বলা হয়েছে। এটিও অসত্য। প্রশিক্ষণার্থীদের নিয়ম অনুযায়ী উন্নতমানের প্রশিক্ষণ সামগ্রী সরবরাহ করা হয়। এছাড়া, দুপুরের খাবারের মান নিয়েও যে অভিযোগ উঠেছে, তা ভিত্তিহীন। আমাদের প্রতিষ্ঠান সব ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছে। জেপি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার দেশের বেকার ও সুবিধাবঞ্চিত তরুণ-তরুণীদের দক্ষতা উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা সংবাদটির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এর মাধ্যমে যে মিথ্যাচার ও ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করি। জেপি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার তার নিজস্ব নিয়ম মেনেই কক্সবাজারের বেকার যুব সমাজের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করে যাবে সকল বাধা বিপত্তি অপপ্রচার উপেক্ষা করে। অতএব, এই মনগড়া, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদে বিভ্রান্ত না হতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানাচ্ছি। একই সাথে সাংবাদিক ভাইদের অনুরোধ করবো-কাল্পনিক তথ্যে ভর না করে কক্সবাজারের স্থানীয়দের দক্ষতা উন্নয়নের কার্যক্রমকে আরো বেশি সফলতার সাথে এগিয়ে নেওয়া এবং কক্সবাজারের মানুষের পাশে থাকা আপনাদেরও দায়িত্ব। সে জন্য সম্পূর্ণ মনগড়া, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। প্রতিবাদকারী, জায়েদ নুর, জেপি ট্যাকনিকাল ট্রেনিং সেন্টার (জেপিটিটিসি)।