বিএনপির নেতা-কর্মীরা সালিস বৈঠকে অংশ নিলে ব্যবস্থা নেবে দল

স্থানীয় পর্যায়ের সালিস বৈঠকে অংশগ্রহণ করলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা বিএনপি। দলটির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান টোটনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটি বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দলের কিছু নেতা-কর্মী স্থানীয় সালিস বৈঠকে অংশ নিয়ে আর্থিক লেনদেনসহ বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এসব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে মঙ্গলবার রাতে দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নেয় জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান টোটন বলেন, ‘সামনে জাতীয় নির্বাচন। সংকটময় সময় পার করছে দল। এমন পরিস্থিতিতে যেন কেউ কোনো অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়াতে না পারেন, সেজন্যই সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।’ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামী সংগঠন। এই দলের প্রত্যেক নেতা-কর্মী জনগণের আস্থার প্রতীক এবং আন্দোলন-সংগ্রামের অগ্রণী সৈনিক। সে কারণে দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখা এবং সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে আরও বলা হয়, জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কোনো নেতা-কর্মী স্থানীয় পর্যায়ে সালিস, দাঙ্গা-ফ্যাসাদ, পক্ষপাতদুষ্ট বা মধ্যস্থতাকারী কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না। একই সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মীদের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মসূচিতে সক্রিয় থাকার পাশাপাশি জনগণের পাশে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাদের আচরণ ভদ্র, মার্জিত ও সদা হাস্যোজ্জ্বল রাখারও আহ্বান জানানো হয়েছে। নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা অনুযায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে হুঁশিয়ারি করা হয়েছে।