চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিনকে 'ইয়াবা ও অস্ত্র' দিয়ে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র; সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড়
Friday, November 07, 2025
ডেস্ক রিপোর্ট, কক্সটিভি :
আলোচিত চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিনকে 'ইয়াবা ও অস্ত্র' দিয়ে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এমন একটি চাঞ্চল্যকর খবর ঘুরপাক খাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
দৈনিক যুগান্তরের কক্সবাজার প্রতিনিধি, অনুসন্ধানী সাংবাদিক জসিম উদ্দিন উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরীকে নিয়ে তার ভেরিফাই ফেসবুক আইডিতে এমন একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। যা দেখে সর্বত্র গুঞ্জন শুরু হয়। কারণ চেয়ারম্যান ইতোমধ্যে কক্সবাজার-৪ উখিয়া-টেকনাফ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এমপি নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। মূলত: এরপর থেকেই শুরু হয়েছে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র। জসিমের সেই স্ট্যাটাসে যা লিখা হয়েছে কক্সটিভি'র পাঠকদের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো-
"চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিনকে "ইয়াবা ও অস্ত্র" দিয়ে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র!
আমার এক নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্ত সূত্র গত তিন দিন ধরে অস্থিরভাবে আমার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করছিলেন। গতকাল তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলেছি এবং মনোযোগ দিয়ে তাঁর বর্ণনা শুনেছি। সূত্রটি দাবি করেছেন যে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিনকে বিভিন্নভাবে ফাঁসানোর পরিকল্পনা চলছে; ফলে তাকে যে কোনো সময় গ্রেফতার করা হতে পারে এবং আরও নানা অঘটন ঘটতে পারে। সূত্র অনুযায়ী ষড়যন্ত্রের মূল কৌশলগুলো নিম্নরূপ:
১) পরিকল্পনা অনুযায়ী একজন রোহিঙ্গা মাদক ব্যবসায়ীকে জেলার বাইরে থেকে আটক করে মিডিয়ার সামনে বলা হবে যে ওই ইয়াবাগুলো চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিনের। এরপর সেই বক্তব্যকে ভিত্তি করে তাকে মামলায় ফাঁসানো হবে।
২) ইয়াবা লেনদেনের সময় মোবাইলে কথোপকথনে বলা হবে যে “চেয়ারম্যান গফুরের টাকা দরকার, তাই ইয়াবা সস্তায় বিক্রি করব” — এ ধরনের কথাবার্তা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হবে। এসব নম্বর আগেই পরিকল্পনা অনুযায়ী র্যাবের ইন্টেলিজেন্সে (ইন্টেক) জমা দিয়ে দেওয়া হবে, যাতে মাদকসহ কেউ ধরা পড়লে তা গফুরের বিপক্ষে ব্যবহার করা যায়।
৩) মাদক বহনকারী ব্যক্তি ধরা পড়ার আগে বা পরে চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিনের ফোনে কল করে সাহায্য চেয়ে যোগাযোগ করবে — এবং সেই কথোপকথনকে প্রমাণ হিসেবে দেখিয়ে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হবে।
৪) আরও একটি পরিকল্পনা অনুযায়ী চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিনের বাড়ি বা আঙ্গিনায় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র রেখে দিয়ে যৌথবাহিনীর অভিযান করানো হবে — ফলে তা সাজানো প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা যাবে।
সূত্র ও আমার সোর্সের দাবি অনুযায়ী এই ষড়যন্ত্রে একজন উচ্চপদস্থ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা জড়িত বলে দাবি করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, উপরোক্ত সবকিছু সূত্রের দাবি। আশা করি অন্তত আমাদের কক্সবাজারে এমন কিছু হবে না। বিষয়টি গফুর উদ্দিনকে এখনো জানানোর সুযোগ না হলেও আমি ইতোমধ্যে গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করেছি।"
(নোট : বিষয়টি নিয়ে টিম কক্সটিভি আরো গভীর অনুসন্ধান চালাচ্ছে।)



