পর্যটন নগরীতে প্রথম মাল্টিপারপাস পাবলিক টয়লেট উদ্বোধন; সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের আহ্বান জেলা প্রশাসকের
Saturday, December 13, 2025
আহসান সুমন ::
দেশের প্রধান বিনোদন কেন্দ্র কক্সবাজারে আগত দেশি-বিদেশি পর্যটক এবং স্থানীয়দের সেবায় প্রথমবারেরমতো যাত্রা শুরু করেছে অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন মাল্টিপারপাস পাবলিক টয়লেট।
নারী বান্ধব ও প্রতিবন্ধী অন্তর্ভুক্ত স্যানিটেশন সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সমুদ্র সৈকতের পার্শ্ববর্তী সুগন্ধা পয়েন্টে দৃষ্টিনন্দন এই পাবলিক টয়লেট স্থাপন করা হয়।
শনিবার সকালে ফিতা কেটে এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ আ.মান্নান।
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগীয় এবং জেলা প্রশাসন, কক্সবাজার এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে)।
জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যায়ে দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনে কক্সবাজারের প্রথম এই মাল্টিপারপাস পাবলিক টয়লেট নির্মাণের মাধ্যমে পর্যটন সেবায় নতুন একটি সুযোগ তৈরি হলো।
এই মাল্টিপারপাস পাবলিক টয়লেট স্থাপনার দ্বিতীয়তলায় রয়েছে কপিশপ, নারীদের ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার, লাইব্রেরী, মহিলাদের নামাজের স্থান এবং ম্যানেজমেন্ট অফিস। একই সাথে ভবনের নিচে একাধিক টয়লেট-বেসিনের পাশাপাশি রয়েছে চেঞ্জিং রুম, লাগেজ লকার, লন্ড্রি, নিরাপদ খাবার পানির ব্যাবস্থা , মাসিক ব্যাবস্থাপনা জন্য স্যানিটারী প্যাড এবং এটিএম বুথসহ আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা।
ইউনিসেফের ওয়াশ অফিসার সাজেদা বেগম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদুল আলম। এছাড়াও ইউনিসেফ বাংলাদেশের ওয়াশ প্রধান পিটার জর্জ এল. মায়েস, কক্সবাজার ফিল্ড অফিসের ওয়াশ প্রধান মুছা ড্রামিয়া, আইসিডিডিআরবি প্রতিনিধি উপ-নির্বাহী পরিচালক হামিদুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আ.মান্নান বলেন, পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধার জন্য স্যানিটেশন সুবিধাসহ স্থাপনাটি উদ্বোধন করা হলো। প্রাথমিকভাবে এটি মডেল হিসেবে তৈরী করতে চাই, যেন কক্সবাজারে আগত মানুষের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা আরও সুন্দর হয়।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের ওয়াশ প্রধান পিটার জর্জ এল. মায়েস বলেন, ইউনিসেফ সবসময় সরকারকে সহযোগীতা করে আসছে। ভবিষ্যৎ এ আরও কাজ করা হবে। কিন্তু বর্তমানে যে স্থাপনা তৈরী করা হয়েছে তার সঠিক রক্ষনাবেক্ষন করা জরুরী বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উপ-নির্বাহী পরিচালক হামিদুল ইসলাম বলেন, ডিএসকে বাংলাদেশে আরবান ওয়াসে অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠান, ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশন মিলিয়ে মোট ১৯টি পাবলিক টয়লেট রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বে আছে। আজ কক্সবাজার নতুন একটি কাজ যুক্ত হলো-যা আমাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি এটিকে সঠিকভাবে রক্ষনাবেক্ষনের উপর গুরুত্বারোপ করেন।



