চারদিন আগে কাজে যোগ দেন গৃহকর্মী আয়েশা, অতঃপর মা-মেয়ে খুন
Monday, December 08, 2025
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে মা-মেয়ে খুনের ঘটনা ঘটে। ওই বাসায় স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে বাস করতেন এম জেড আজিজুল ইসলাম। তিনি উত্তরার সানবিমস স্কুলের পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক। মাত্র চারদিন আগে আয়েশা নামের এক নারী গৃহকর্মী হিসেবে কাজে যোগদান করে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে আজিজুলের স্ত্রী মালাইলা আফরোজ (৪৮) ও তার মেয়ে নাফিসা বিনতে আজিজকে (১৫) ছুরি দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় গৃহকর্মী আয়েশা। পালিয়ে যাওয়ার আগে ঘাতক আয়েশা বাথরুমে গোসল করে নিহত নাফিসার স্কুল ড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে পালায়। শাহজাহান রোডের ৩২/২/এ বাসার সপ্তম তলার ৭/বি ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মালাইলা আফরোজ পেশায় গৃহিণী ও নাফিসা মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তবে কি কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে জানা যায়নি এবং ঘাতক আয়েশাকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
আজিজুল ইসলাম বলেন, বাসায় একজন কাজের মহিলা দরকার ছিল। সাধারণত গেটে অনেকে কাজের সন্ধানে আসেন। চারদিন আগে একটি মেয়ে আসে। বোরকা পরিহিত মেয়েটি বাসার দারোয়ান খালেকের কাছে কাজের সন্ধান করলে সে আমাদের বাসায় পাঠিয়ে দেয়। এরপর আমার স্ত্রী মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে কাজে রেখে দেয়। পরে স্ত্রীর মুখে শুনেছি, মেয়েটার নাম আয়েশা। বয়স আনুমানিক ২০ বছর। তার গ্রামের বাড়ি রংপুর। জেনেভা ক্যাম্পে চাচা-চাচির সঙ্গে থাকে। বাবা-মা আগুনে পুড়ে মারা গেছে। তার শরীরেও আগুনে পোড়ার ক্ষত রয়েছে। তিনি বলেন, মেয়েটা কাজ শুরুর পর প্রথম দু’দিন সময়মতো এসেছে। গতকাল সে সাড়ে ৯টার দিকে আসে। আজ কী হয়েছে, এটা তো আর বলার অবস্থায় নেই।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার ইবনে মিজান গণমাধ্যমকে জানান, পুলিশ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে খবর পায়। মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখানে নেয়ার পর মারা যায়। পরে লাশ দু’টি সুরতহালের পর ময়নাতদন্তের জন্য সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে কিছু তথ্য পেয়েছি, সেসব যাচাই-বাছাই চলছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করছি, হত্যার আগে-পরে তার উপস্থিতি ও অ্যাকটিভিটিজ বিশ্লেষণ করে পরবর্তী তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাবো।



